মোঃ সেলিম রেজা,কেশবপুর প্রতিনিধি: আজ ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৯ দিনব্যাপী যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি মধুপল্লীতে মধু মেলার শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ফিতা কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে মেলার শুভ উদ্বোধন উন্মোচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চেয়ার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস চেয়ার অধ্যাপক প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। উন্নত মানের শিক্ষা আমাদের প্রয়োজন। যে শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে দেশের সেবাই নিয়োজিত থাকা যায়। তিনি আরো বলেন মধুমেলা যেন নির্মল আনন্দের মেলায় পরিনত হয় এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সকলে যেন মেলা উপভোগ করতে পারেহ সেই দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। কবির সৃতির  প্রতি শ্রদ্ধা  জানিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কবির শিক্ষা পৌছে দিতে হবে এই ব্যক্ত করেন।
১৯ জানুয়ারী সন্ধ্যায় সাগরদাঁড়ীর মধু মঞ্চে যশোর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাসান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেশবপুরের সংসদ সদস্য আজিজুল ইসলাম, মনিরামপুরের সংসদ সদস্য ইয়াকুব আলী,যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন,যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুহিন হোসেন। এবারের মেলায় সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা ছাড়াও কুঠির শিল্প ও গ্রামীন পসরার প্রায় ৫০০ স্টল বসেছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলায় উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর উপর আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  অনুষ্ঠিত হবে। মেলায়  সার্কাস, ইঞ্জিন ট্রেন, মৃত্যুকুপ , বিসিকের স্টল ছাড়াও হরেক রকমের খাবারের দোকান বসেছে। মধু মেলায় প্রতিদিন কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। এ ছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।